ঢাকা, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

বগুড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩, ০২:৪২ দুপুর  

ছবি সংগৃহীত

বগুড়ায় জেল থেকে বের হওয়ার ১০ দিনের মাথায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুল ইসলাম আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়া সড়কে আরিফকে (২৬) হাঁসুয়া ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দৃর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরিফ বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা ও পৌরসভার ১৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম মণ্ডলের ছেলে। তিনি শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ায় (উটের মোড়) মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আরিফ তাদের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা। বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানায়, নিহত আরিফের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ছাড়াও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা রয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে আরিফ পায়ে হেঁটে বাসায় ফেরার জন্য নামাজগড় মোড় থেকে সুলতানগঞ্জপাড়া সড়কে ঢোকে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার ওপরে হামলা করে। তারা আরিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা ও দুই হাতে কুপিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় আরিফও দৌড়ে কিছুদূরে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করে সড়কের পাশের ড্রেন থেকে একটি দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।

থানা পুলিশ জানায়, গত ৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সুলতানগঞ্জপাড়া উটের মোড় এলাকায় আরিফের নেতৃত্বে সাকিব (২১) নামের এক যুবককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। সেই ঘটনায় সাকিবের বাবা মিলু শেখ বাদী হয়ে আরিফসহ ৬ জনের নামে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করলে ১০ দিন আগে সে জামিনে বের হয়। আরিফ খুনের পর সাকিব নামের সেই যুবক ও তার দুই ভাই আত্মগোপন করেছে।

তবে সাকিবের বাবা মিলু শেখের দাবি, আরিফ জামিনে বের হয়ে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওয়ালিউল্লাহ বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ খুনের ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

তিনি বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আটক করতে পুলিশের একাধিক দল তৎপরতা চালাচ্ছে।