বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমছে, মুরগি-ডিম অপরিবর্তিত

চালের বাজারে তেজ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ভারতের আমদানিকৃত চাল ও শুল্ক হ্রাসের প্রভাবে বাজারে সরবরাহ বেড়ে দামও সামান্য হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে সবজির দামও কিছুটা কমেছে। তবে মুরগি, ডিম ও মাছের দাম এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।

নতুন ধান ওঠার পরও টানা দুই মাস চালের বাজার চড়া থাকলেও, শুল্ক হ্রাস ও আমদানির কারণে খুচরা বাজারে গতকাল ধানের দাম কিছুটা কমতে দেখা গেছে। সরু বা মিনিকেট চাল কেজি প্রতি ৭২-৮০ টাকায়, মাঝারি মানের চাল ৫৮-৬৬ টাকায় এবং মোটা বা গুটি স্বর্ণা ও চায়না ইরি ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় মাঝারি মানের চাল ৫৬-৫৮ টাকা এবং মোটা জাতের ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে বেশির ভাগ চাল আমদানিতে মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আর শুল্ক প্রযোজ্য। পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে চালের দাম প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। তবে গত বছরের একই সময়ে দাম এখনও ১৫ শতাংশ বেশি।

সরকার বাজারে সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে আরও চার লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারওয়ান বাজারের জনতা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী সৌরভ হোসেন বলেন, “ভারত থেকে চাল আমদানি হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, আর দাম কিছুটা কমছে।”

গত সপ্তাহে বেশির ভাগ সবজির দাম ৬০-৮০ টাকা, এমনকি কয়েকটি ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়। সরবরাহ বাড়ায় এখন দাম কিছুটা কমেছে। কাঁকরোল ৯০ থেকে ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ থেকে ৬০ টাকা, পটোল ৭০ থেকে ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৭০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪৫ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দলে ৭০-৮০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৫ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ১১০ থেকে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১০০ টাকা এবং শসা ৬০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কেজি প্রতি ১৪০-১৭০ টাকায় স্থিতিশীল। আগারগাঁওয়ের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল মিয়া বলেন, “বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দামও কিছুটা কমেছে।”

দেশি মসুর ডাল ১৫০-১৫৫ টাকা এবং আমদানি মসুর ৯৫-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মুরগি, ডিম ও মাছের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়ে দাম কিছুটা কমেছে। ভারতের চাল আমদানির ফলে ধানের দামও হ্রাস পেয়েছে। তবে মুরগি, ডিম ও মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাধারা/এসআর