মাগুরায় সাবেক এসপি, ইউএনও ও ওসিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৫, ০২:২০ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগে মাগুরার সাবেক পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ওসি এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল রুমন।
গত ৩০ জুন মাগুরা সদর আমলি আদালতে এই মামলা দায়ের করেন ফয়সাল রুমন। মামলাটি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার (১ জুলাই) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মাগুরা শহরের ভায়না গ্রামের মৃত ইন্তাজ শিকদারের ছেলে ফয়সাল রুমন অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালের ৫ ও ১৩ আগস্ট ফেসবুকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ করে ছবি পোস্ট করার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। এরপর ১৮ আগস্ট তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে ফয়সাল রুমনের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এতে তার স্পাইনাল কর্ড ও মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে যায়।
পরদিন তার নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং সেই মামলার কারণে তাকে ১৬৮ দিন বিনা বিচারে কারাগারে আটক রাখা হয়। ফয়সাল রুমন দাবি করেছেন, এই মিথ্যা মামলার ফলে তার প্রায় ৫০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। তিনি মামলাটি সাজানো ও উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে বিচার দাবি করেছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে মাগুরার তৎকালীন পুলিশ সুপার খান মো. রেজোয়ান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম, এসআই আল এমরান, এসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল পার্থ রায়, মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান, তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মীর মেহেদী হাসান রুবেল এবং আওয়ামী লীগ কর্মী মুরাদুজ্জামান মুরাদকে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী কাজী মিনহাজ উদ্দিন জানান, “মিথ্যা মামলা সাজিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালানোয় ফয়সাল রুমন সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। সরকারি দায়িত্বে থাকা ছয়জন কর্মকর্তাসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।”
বাংলাধারা/এসআর