আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, বিচার শুরু করার নির্দেশ
প্রকাশিত: আগস্ট ০৬, ২০২৫, ১২:২৮ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
মামলায় মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২৪ জন পলাতক এবং ৬ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে আছেন এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। অভিযোগ গঠনের সময় তারা ট্রাইব্যুনালের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ওই দিন পলাতক আসামিদের পক্ষে চারজন সরকারি খরচে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী শুনানি করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী সুজাত মিয়া ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে আইনজীবী মামুনুর রশীদ। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন গাজী এমএইচ তামিম ও অন্যান্য প্রসিকিউটর।
২৮ জুলাই মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর দুই ঘণ্টার মত শুনানি শেষে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিস্তারিত অভিযোগ তুলে ধরেন।
এদিকে ২৪ জন পলাতক আসামির পক্ষে ট্রাইব্যুনাল-২ সরকারি খরচে চারজন স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছে। গ্রেপ্তার ৬ আসামির মধ্যে দুজন এখনও আইনজীবী নিয়োগ দেননি; তাদের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
১৩ জুলাই অন্য মামলায় গ্রেপ্তার রাসেল ও পারভেজকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক ২৪ আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আদালতে হাজির করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গত ৩০ জুন ট্রাইব্যুনালে আমলে নেওয়া হয়। ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
আদালত পলাতক আসামিদের না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ পলাতক অবস্থায়ই চলবে।
বাংলাধারা/এসআর