মুরাদনগরে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে হামলা, আহত ১৫
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৬:৫১ বিকাল

ছবি: সংগৃহিত
কুমিল্লার মুরাদনগরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনায় দুই শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রীটির বড় ভাই ইমনসহ কয়েকজন বহিরাগত কিশোর বিল্লাহকে বিদ্যালয় থেকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
বিল্লাহকে না পেয়ে তারা তার দুই সহপাঠী শাহজালাল ও আরমানকে গেটের বাইরে নিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকেও আঘাত করে।
খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন, গণিত শিক্ষক জহিরুল ইসলামসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর মুরাদনগর থানা পুলিশ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে বহিরাগতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, “ইভটিজিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের কারো কাছে কোনো তথ্য ছিল না। যদি কেউ অভিযোগ করে থাকে, তবে তা লিখিত আকারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটি না করে পরপর দুই দিন বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের মারধর করে।”
বিদ্যালয়ের সাবেক দাতা সদস্য শাহজাহান খান বাবুলও মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা সঠিকভাবে সমাধান করতে হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো উচিত ছিল।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান জানান, আটক পাঁচ বহিরাগত কিশোরকে থানায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরও ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শুনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। যেহেতু এটি মোবাইল কোর্টের আওতায় পড়ে না, তাই থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর