ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭২ জন নিহত, আহত শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ১০:২৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় আবারও রক্তাক্ত হলো উপত্যকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭২ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও ২৭৮ জন। শুক্রবার রাতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। কারণ বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে, তবে নিরাপত্তা সংকটের কারণে তা অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই থেকে এখন পর্যন্ত, প্রায় দেড় বছরের এই রক্তক্ষয়ী অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৪ হাজার ৩২১ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৭০ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেশি- এই দীর্ঘ যুদ্ধে মোট হতাহতের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় হামাস। সেদিন প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি করে তারা। এরপরই প্রতিশোধ নিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

দীর্ঘ অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই পক্ষ। তবে এই বিরতি স্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মাসের মাথায়, ১৮ মার্চ থেকে আবারও গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

দ্বিতীয় দফার এ হামলা এখন পর্যন্ত আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মাত্র আড়াই মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার। প্রতিদিনই বাড়ছে লাশের সংখ্যা, নিঃশেষ হচ্ছে একটি জনগোষ্ঠীর বসতি, ভবিষ্যৎ ও স্বপ্ন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতা এবং কার্যকর হস্তক্ষেপের অভাবে মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে- যার মূলে রয়েছে দখল, প্রতিশোধ এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।

 

বাংলাধারা/এসআর