নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও ইসরায়েলি হামলায় আইআরজিসির নতুন প্রধান নিহত
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ০১:০৬ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
ইরানে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)-এর কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের নতুন প্রধান আলী শাদমানি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। আল-জাজিরার ১৭ জুন, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল তেহরানে একটি পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে খাতাম আল-আনবিয়া নামক আইআরজিসির কেন্দ্রীয় কমান্ড সদর দপ্তরের প্রধান আলী শাদমানিকে হত্যা করে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাকে ইরানের “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডার” ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির “ঘনিষ্ঠজন” হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইরানি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এই ঘটনার ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এর আগে, একই কমান্ড সদর দপ্তরের সাবেক প্রধান ঘোলাম আলী রশিদকে ইসরায়েলি হামলায় হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই শাদমানিকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পদ গ্রহণের পর অল্প সময়ের মধ্যেই একই পরিণতির শিকার হলেন।
গত কিছুদিন ধরেই একের পর এক ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এর আগে নিহত হন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, যিনি ১৯৮০’র দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং খামেনির অধীনেই দেশের সামরিক পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিতেন। এই হামলায় বাঘেরির পাশাপাশি নিহত হন অপারেশনস বিভাগের উপপ্রধান মেহেদি রাবানি এবং গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান গোলামরেজা মেহরাবি।
তেহরানের একটি গোপন ভূগর্ভস্থ বাংকারে বৈঠক চলাকালে আইআরজিসির মহাকাশ বিভাগের আট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও নিহত হন। এদের মধ্যে ছিলেন মহাকাশ বিভাগের দীর্ঘদিনের প্রধান আলি আকবর হাজিজাদেহ এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তির দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কমান্ডাররা।
এই ধারাবাহিক হামলা ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। একইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়- ইরান কেমন প্রতিক্রিয়া জানায়, এবং এই সংঘাত কোন পথে এগোয়।
বাংলাধারা/এসআর