নিউইয়র্কে বন্দুক হামলায় বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৪
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৫, ১১:৩১ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের পার্ক অ্যাভিনিউতে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। হামলাকারী পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, নিহতদের একজন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। তিনি ছুটিতে ছিলেন এবং প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। দিদারুলের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা এবং তার আরও দুটি ছোট সন্তান রয়েছে।
নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ এক বিবৃতিতে বলেন, “দিদারুল ইসলাম যেমন জীবন কাটিয়েছেন, তেমনই বিদায় নিয়েছেন, একজন বীরের মতো।”
পুলিশ জানায়, হামলাকারীর নাম শেন তামুরা। তিনি লাস ভেগাসের বাসিন্দা এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। কেন তিনি এই হামলা চালিয়েছেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, তামুরা একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে এম৪ রাইফেল হাতে ভবনের দিকে যান। ভেতরে ঢুকেই তিনি দিদারুল ইসলামকে লক্ষ্য করে গুলি চালান এবং আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করা এক নারীকে গুলি করেন। পরে লবিতে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে আরও দু’জনকে হত্যা করেন। এরপর তিনি ভবনের ৩৩ তলায় উঠে একটি রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানে আরেকজনকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে নিজেই আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ হামলাকারীর গাড়ি থেকে একটি রাইফেল কেস, একটি রিভলভার, গুলি ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সময় ভবনটিতে নিউইয়র্কের শীর্ষ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অফিস এবং ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) কার্যালয় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী জেসিকা চেন জানান, গুলির শব্দ শুনে তারা দ্বিতীয় তলার একটি কনফারেন্স রুমে গিয়ে দরজায় টেবিল ঠেসে আটকে দেন।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, “পাঁচজন নিরপরাধ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে আছেন।”
ঘটনার পর শহরের জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ওই এলাকায় যানজট, রাস্তা বন্ধ ও গণপরিবহন বিঘ্নের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
বাংলাধারা/এসআর