মির্জাপুরে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির মূল হোতাসহ গ্রেফতার ৫, উদ্ধার লুট হওয়া মালামাল

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে জর্ডান প্রবাসীর মাইক্রোবাসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অগ্রগতি ঘটেছে। এ ঘটনায় মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২ জুন) রাজধানীর সাভার ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় ডাকাতদের কাছ থেকে লুট হওয়া চারটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আব্দুল হাকিম (পিতা: ইউসুব জমাদ্দার, বরিশাল), মো. সোহাগ (পিতা: আমির হোসেন), মো. রোমান (পিতা: আসাদ আলী), মো. মিলন সিকদার (পিতা: সুবহান সিকদার), মো. আরিফ হোসেন (পিতা: ইয়ার হোসেন বেপারী)।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রের সক্রিয় সদস্য।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মে ভোররাতে মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় জর্ডান প্রবাসী এক নারীর মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় মহাসড়কে টহলে থাকা পুলিশ বিষয়টি আঁচ করতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে এগিয়ে যায়। পুলিশকে দেখে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে এবং পালানোর সময় গুলি ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে তারা ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের গুলিতে পুলিশের এক সদস্য আহত হন।

ঘটনার পর ওই প্রবাসী নারীর বড় বোন বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতদের ব্যবহৃত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে এবং তাদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে এবং মহাসড়কে টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাংলাধারা/এসআর