১৭ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হতে যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ০৬:০৬ বিকাল

ছবি: পিআইডি
১৭ বছর পর বাংলাদেশ সত্যিকারের একটি নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে - যা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন। এমন আশাবাদী মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১১ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চ্যাথাম হাউসের রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে আয়োজিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের পথে আছি, যা কেবল অংশগ্রহণমূলকই নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
তিনি জানান, একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই সংস্কার কমিশন গঠন করেছে।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে পৃথক কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনগুলোর সুপারিশই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে,” - বলেন প্রধান উপদেষ্টা। আমাদের মূল কাজ হলো - জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা।
তিনি আরও জানান, ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত হচ্ছে, যা আগামী জুলাই মাসেই জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এটি হবে আগামীর রূপরেখা ও জাতীয় পুনর্গঠনের দিকনির্দেশনা।
সাক্ষাৎকারে সরকারি সেবায় স্বচ্ছতা ও ডিজিটাল সহজীকরণের কথাও তুলে ধরেন ড. ইউনূস।
এক সময় পাসপোর্ট কিংবা অন্যান্য সরকারি সেবা পেতে দালালদের দ্বারস্থ হতে হতো। এতে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হতো। এখন আমরা সে চিত্র বদলে দিচ্ছি। পাসপোর্টসহ অধিকাংশ সেবা অনলাইনে নেওয়া যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে - বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন অংশগ্রহণকারীর প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস স্পষ্ট করেন, নির্বাচনের পর আমি কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বে থাকতে চাই না। আমার কাজ হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।
তিনি প্রত্যাশা করেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে — যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক পথ তৈরি করবে।
বাংলাধারা/এসআর