পুলিশ অফিসার হিসেবে জার্নিটা ছিল চ্যালেঞ্জিং: বাঁধন

২০০৯ সালের ঢাকার আজিমপুরে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনাকে ঘিরেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’। ঈদুল আজহার উৎসবকে সামনে রেখে মুক্তি পেতে যাওয়া এই ছবির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে বুধবার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি)-তে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে সিনেমার নির্মাতা সানি সানোয়ার উপস্থিত না থাকলেও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, পূজা এগনেস ক্রুজ, ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজসহ সিনেমার অন্যান্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

সিনেমাটির গল্প নির্মিত হয়েছে এক বাস্তব হত্যাকাণ্ডের রহস্যকে ঘিরে, যা দর্শকদের সামনে তুলে ধরছে একটি বিরল এবং গভীর সত্য। এতে একজন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। পুলিশের পোশাকে এটাই তার প্রথম অভিনয়।

বাঁধন বলেন, বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্রে নারীর এমন শক্তিশালী ও গভীর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ খুব কম আসে। ‘এশা মার্ডার’-এর চিত্রনাট্য পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, এটি ঈদের অন্যান্য সিনেমার ভিড়ে ব্যতিক্রম হয়ে উঠবে।

একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে আমার চরিত্রটি ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বাস্তবিক চাপ, মানসিক ভার এবং অনুসন্ধানের ভেতরকার আবেগ- সবকিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করি, দর্শক হলে গিয়ে আমাদের প্রচেষ্টাকে মূল্যায়ন করবেন।

এই সিনেমার মধ্য দিয়েই ঈদে জীবনের প্রথম সিনেমা হলে আসছেন বাঁধন। প্রতিযোগিতা নিয়ে ভীত নন তিনি, তবে নিজের কাজ নিয়ে এক ধরনের গর্ব আর নার্ভাসনেস কাজ করছে বলেও জানান।

তার ভাষায়, আমি অন্যদের সিনেমা নিয়ে ভাবছি না। বরং মানুষ আমার কাজ কেমনভাবে নেয় তা নিয়েই চিন্তিত। তবে আমি সবাইকে বলবো- সব সিনেমাই দেখুন। তার সঙ্গে ‘এশা মার্ডার’ দেখবেন। যদি জানতে চান বাঁধন একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে কেমন ছিলেন- তাহলে প্রেক্ষাগৃহে আসতেই হবে।

অভিনেতা ফারুক আহমেদ সিনেমায় থানার ওসি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, এটি এমন একটি সিনেমা, যেখানে গল্পের গভীরতা সবাইকে ভালো অভিনয় করতে বাধ্য করেছে। আমরা সবাই গল্পে ডুবে গিয়েছিলাম। তাই অভিনয়টা হয়ে উঠেছে প্রাণবন্ত। আশা করি, ঈদের অন্যান্য সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ছবিটিও দর্শক উপভোগ করবেন।”

সিনেমার নাম ভূমিকায় ‘এশা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা এগনেস ক্রুজ। তিনি বলেন, এই চরিত্রটির জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর আমি প্রায় ৬ মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। পরিচালক সানি সানোয়ার ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়েছি, যাতে চরিত্রের ভেতরে পুরোপুরি ঢুকে যেতে পারি। শুধু আমি না-এই সিনেমার আরও অনেক শিল্পীকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ কারণেই সিনেমাটির গল্প ও উপস্থাপন আলাদা এক উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে আমার বিশ্বাস।”

চলচ্চিত্রটির অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, নিবির আদনান, হাসনাত রিপন, সরকার রওনক রিপন, শিল্পী সরকার অপু, এ কে আজাদ সেতু, ইশিকা সাকিন, সৈয়দ এজাজ আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়া একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সুমিত সেন গুপ্তকে।

বাংলাধারা/এসআর