ঢাকা, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বাংলাদেশ-চীন বিনিয়োগ সম্মেলন ১ জুন: ঢাকায় আসছেন ২৫০ চীনা বিনিয়োগকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ১১:১০ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

ফরচুন ৫০০ তালিকাভুক্ত ৭ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ বিশাল চীনা ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল ঢাকায়, প্রধান অতিথি চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে আগামী ১ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৫’। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও চীনের সরকারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই দিনব্যাপী সম্মেলনটি চলতি বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ-সংলাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সোমবার বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. আশিক চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলনের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, “বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো একক কোনো দেশ থেকে এত বড় বিনিয়োগকারী দল একসঙ্গে আসছে। এই সম্মেলন বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরার একটি বড় সুযোগ।”

চীন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ের নেতৃত্বে আসা এই প্রতিনিধিদলে থাকবেন প্রায় ২৫০ জন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী, যারা প্রায় ১০০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এদের মধ্যে ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ তালিকাভুক্ত ৬-৭টি শীর্ষ কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তারাও থাকবেন, যা বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য সুযোগ।

এছাড়া চীনের চারটি প্রভাবশালী চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন এই সম্মেলনে। ফলে, শুধু বিনিয়োগ নয়, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, যৌথ উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর সম্পর্কেও বাস্তব আলোচনা এবং চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ খাত, তথ্য প্রযুক্তি এবং পোশাক শিল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে চীনা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও অন্যান্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিডার চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের বাস্তব চিত্র চীনা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সামনে উপস্থাপন করা যাবে। পাশাপাশি, চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল বাজার ও তরুণ কর্মশক্তির প্রতি আস্থা রাখবেন।”

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী সংগঠন, চেম্বার ও উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্মগুলোও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একবিংশ শতাব্দীতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমীকরণে চীনের অবস্থান ও বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্বের কারণে এই ধরনের সম্মেলন দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

 

বাংলাধারা/এসআর