পাকিস্তানের বিপক্ষেও ব্যর্থ টাইগাররা, সিরিজ শুরু হার দিয়ে
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০১:৪৮ রাত

ছবি: সংগৃহিত
আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আরেকটি ধাক্কা খেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৩৭ রানে পরাজিত হয়েছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক পাকিস্তান। ইনিংসের শুরুতেই চমক দেখায় বাংলাদেশ - মাত্র ৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেয় শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। কিন্তু এরপরই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে যায়।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগা গড়ে তোলেন ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। হারিস থিতু হতে না পারলেও অধিনায়ক সালমান খেলেন দারুণ একটি ইনিংস — ৩৪ বলে ৫৬ রান করে তিনি দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন।
পরে ইনিংসের মধ্যভাগে ঝড় তোলেন তরুণ ব্যাটার হাসান নাওয়াজ। মাত্র ৩২ বলে ৫৪ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ম্যাচের গতি বদলে দেন তিনি। শেষদিকে শাদাব খানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে (১৮ বলে ৩১ রান) দুইশ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তোলে ৭ উইকেটে ২০১ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ২টি উইকেট নিয়ে ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, শামীম পাটোয়ারী, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে টাইগাররা। ওপেনার পারভেজ ইমন মাত্র ৪ রান করে ফিরলে হতাশা বাড়ে। একপ্রান্ত ধরে রাখলেও সঠিক টি-টোয়েন্টি ছন্দে খেলতে পারেননি তাওহীদ হ্রদয়। মিডল অর্ডারে শামীম পাটোয়ারী ও রিশাদ হোসেনরা পুরোপুরি ব্যর্থ।
লড়াইটা টিকিয়ে রাখেন তিনজন - লিটন দাস (৪৮), জাকের আলি অনিক (৩৬) ও তানজিদ তামিম (৩১)। তবে তাদের ইনিংসগুলো ছিল কেবল হারের ব্যবধান কমানোর জন্য। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল আগ্রাসী, ম্যাচজয়ী ব্যাটিং - যা দেখা যায়নি কোনো ব্যাটারের কাছ থেকে।
শেষ পর্যন্ত পুরো দল ১৯.১ ওভারে ১৬৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য - একাই নেন ৫ উইকেট, ভেঙে দেন বাংলাদেশের ব্যাটিং মেরুদণ্ড।
একটি পরাজয়ের পর পরই আরেকটি পরাজয়। আরব আমিরাতের বিপক্ষে হারের ক্ষত শুকানোর আগেই পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচেই ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ। সিরিজে সমতায় ফিরতে হলে পরের ম্যাচটি এখন বাঁচা-মরার লড়াই।
ব্যাটিং, বোলিং - উভয় বিভাগেই উন্নতি দরকার টাইগারদের। নাহলে এই সিরিজেও আরেকটি হতাশাজনক পরিণতি অপেক্ষা করে থাকতে পারে।
বাংলাধারা/এসআর