ঢাকা, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জাপান সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ১০:১৩ দুপুর  

ফাইল ছবি

চার দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফেরার পথে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গীরা টোকিওর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটি টোকিও থেকে ছেড়ে যায়। প্রধান উপদেষ্টার ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।

জাপান সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবারসহ প্রায় বিশ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ৩০তম নিক্কেই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে নানা উদ্যোগে সম্পৃক্ত হন।

সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন ড. ইউনূস। ওই দিনই বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক, বিনিয়োগ ও বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, জাপান বাংলাদেশকে ১০৬ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে ৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ডেভেলপমেন্ট পলিসি ঋণ হিসেবে বরাদ্দ করা হবে। এই অর্থ ব্যবহৃত হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে। এছাড়া, ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলার দেওয়া হবে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রুটে ডুয়েল-গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণে এবং ৪২ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া হবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের জন্য।

উভয় সরকারপ্রধানের বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জাপান বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। তাঁরা উভয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি অর্জনে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানান। এছাড়া, জাপানের অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে পাঁচটি টহল নৌকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয় টোকিও।

বৈঠকে ড. ইউনূস মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগসহ বিগ-বি (BIG-B: Bay of Bengal Industrial Growth Belt) উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জাপানের সহায়তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

জাপান সফর শেষে দেশে ফিরতে যাওয়া এই সফরটি বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।

 

বাংলাধারা/এসআর