শরীফুলের চোটে ছন্দপতন, ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার - দায় নিলেন লিটন
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ১০:৩৮ দুপুর

ফাইল ছবি
পাকিস্তান সফরে সিরিজ রক্ষা করতে পারেনি বাংলাদেশ। লাহোরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরে সিরিজ নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সফর শেষ হয়ে গেল লিটন দাসের দলের।
এই হারের পর ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণীতে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস দায় দিলেন দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা এবং বোলিং বিভাগের বড় অস্ত্র শরীফুল ইসলামের চোটকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান টস জিতে ব্যাট করতে নামলে শুরুটা ছিল সাবলীল। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা আসে ম্যাচের তৃতীয় বলেই - বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম কুঁচকিতে টান নিয়ে মাঠ ছাড়েন। আর ফেরেননি। শুরুতেই মূল বোলারকে হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।
লিটন বলেন, "আমার মতে, শরীফুলের চোটেই পুরো মোমেন্টাম পাকিস্তানের দিকে চলে যায়। আমরা জানি, আমাদের বোলিং ইউনিটে কিছু ঘাটতি রয়েছে। শরীফুল ছিটকে যাওয়ায় সেটা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।”
১৪ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৫৫। মনে হচ্ছিল, তারা আগের ম্যাচের ২০১ রানের স্কোরকেও ছাড়িয়ে যাবে। তবে শেষদিকে হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্কোরটা আর না বাড়লেও থেমেছে আগের মতোই - ২০১ রানে।
এই উইকেটে ২০০ রান তাড়ার মতো আত্মবিশ্বাস ছিল লিটনের। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশ ব্যাটিং ইউনিট মুখ থুবড়ে পড়ে। তানজিদ হাসান তামিমের ঝোড়ো শুরু (৩৩ রান) কিছুটা আশার আলো দেখালেও চতুর্থ ওভারের পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
লিটন দাস বলেন, “আমরা চতুর্থ ওভারের পর থেকে কোনো জুটি গড়তে পারিনি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাই। কেউ যদি ভালো ব্যাটিং করে, তার উচিত ইনিংস লম্বা করা, অন্তত ১৩-১৪ ওভার টিকে থাকা। আমরা সেটা করতে পারিনি।”
শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিবের ৫০ রানের লড়াকু ইনিংস কিছুটা ব্যবধান কমালেও জয় এনে দেওয়ার মতো যথেষ্ট ছিল না।
পূর্ণাঙ্গ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে লিটনের যাত্রা শুরু হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় দিয়ে। এরপর টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখলেন তিনি - এর মধ্যে দুটো সিরিজ হারের গ্লানিও রয়েছে।
তবে এখনো শেষ হয়নি সফর। একটি ম্যাচ বাকি। তাই সামনে তাকাতে চান লিটন, “আমাদের সামনে আরেকটি সুযোগ আছে। এখন আমাদের এক হয়ে বসে আলোচনা করতে হবে কীভাবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়। কারণ এটা পুরোপুরি মানসিকতার খেলা।”
বাংলাধারা/এসআর