শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি ডিএসসিসির: ঈদের প্রথম দিনেই শেষ হয়েছে কাজ
প্রকাশিত: জুন ০৮, ২০২৫, ১২:৩৫ রাত

ছবি: বাংলাধারা
পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অপসারণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যেই ৭৫টি ওয়ার্ডের পুরো এলাকার বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন হয়েছে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান জানান, শনিবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে মাত্র ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়। অথচ ডিএসসিসি শুরুতে ১২ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল।
চলতি বছর ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ১,৩৩,৩১৭টি পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানি শেষে স্থানীয় বাসিন্দারা বর্জ্য নির্ধারিত জায়গায় রাখেন, সেখান থেকে তা সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে ডাম্প ট্রাকের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ফেলা হয় মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে।
ডিএসসিসির তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ঈদের প্রথম দিনেই ১২ হাজার টন বর্জ্য ডাম্পিং সম্পন্ন হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এ বছর ডিএসসিসি মাঠে নামিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী। পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ মোট ২,০৭৯টি যানবাহন।
নাগরিকদের সচেতন করতে এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে বিতরণ করা হয়েছে ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, ২০৭টি ৫ লিটারের স্যাভলন গ্যালন এবং ১ লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ।
বৃষ্টির মধ্যেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন সময়মতো বর্জ্য অপসারণে। এজন্য মাঠ পর্যায়ের সব পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডিএসসিসির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, “নগরবাসীর সহযোগিতায়ই এই সফলতা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।”
ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও যেসব এলাকায় কোরবানি হবে, সেখানকার বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসি প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানানো হয়। এ বিষয়ে নাগরিকদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর