তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে টানা তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত। দেশজুড়ে স্কুলগুলোতে এই কর্মসূচির কারণে শিক্ষাকার্যক্রমে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এই কর্মসূচি ঘোষণা করে। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (২৪ নভেম্বর) কর্মবিরতির বিষয়টি জানানো হয়।
সাবেরা বেগম জানান, সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ১১তম গ্রেড প্রদান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর-এই তিন দফা দাবি নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আসছেন।
কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত না আসায় শিক্ষকেরা বাধ্য হয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন।
তিনি আরও জানান, আগামী তিন দিন কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। এরপরও দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের অনশনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার। ফলে এত বড় শিক্ষকমহলের কর্মবিরতি প্রাথমিক শিক্ষায় চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০তম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এই সিদ্ধান্তে সহকারী শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হন।
সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি নিয়েই ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন।
কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতকের পাশাপাশি CnEd, BPED বা BTPP কোর্স সম্পন্ন করেও এখনো ১৩তম গ্রেডেই আটকে আছেন।
তাদের দাবি, একই যোগ্যতার পেশাজীবীরা ভালো গ্রেড পেলে তারা কেন বঞ্চিত? দীর্ঘদিনের এই বৈষম্য দূর করার জন্যই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
বাংলাধারা/এসআর
