ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

ভারতকে ট্রফি না দেওয়ায় মহসিন নকভি পাচ্ছেন দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০৪, ২০২৫, ০৮:৫১ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতীয় দল মহসিন নকভির হাতে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে সেই বিতর্কিত ঘটনায় কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এবার পাচ্ছেন দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান- ‘শহীদ জুলফিকার আলি ভুট্টো এক্সেলেন্স গোল্ড মেডেল’।

এই সম্মাননা ঘোষণার বিষয়টি জানিয়েছে সিন্ধ ও করাচি বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট গুলাম আব্বাস জামাল বলেন, “জাতীয় মর্যাদা ও আত্মসম্মান রক্ষায় সাহসী অবস্থান গ্রহণ করায় মহসিন নকভিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হচ্ছে।”

এশিয়া কাপ ফাইনালের পর ট্রফি হস্তান্তর অনুষ্ঠানেই বিতর্ক শুরু হয়। ম্যাচে জয়ী ভারতীয় দল নকভির হাতে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পাকিস্তান গণমাধ্যম বিষয়টিকে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে বিশ্লেষণ করে। উত্তরে নকভি বলেন, “আমি কিছু ভুল করি নি। তারা চাইলে ট্রফি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এএসসি)-এর দপ্তর থেকে নিতে পারে।”

ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে নকভিকে ঘিরে জাতীয়তাবাদী আবেগ ছড়িয়ে পড়ে। রাজনীতি ও খেলাধুলার অঙ্গনে তার সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়। সমর্থকরা এটিকে “জাতীয় মর্যাদা রক্ষার প্রতীকী পদক্ষেপ” হিসেবে দেখছেন।

আনুষ্ঠানিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে করাচিতে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি-কে। আয়োজনের সমন্বয় করছেন সিন্ধ বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খালিদ জামিল শামসি এবং করাচি ক্রীড়া পরিচালক গুলাম মোহাম্মদ খান।

এশিয়া কাপের পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক উত্তেজনার ছায়া ছিল। মাঠে ভারতীয় দল পাকিস্তান খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে চলেছিল। সেই প্রেক্ষাপটে ফাইনালের ট্রফি বিতরণ এক কূটনৈতিক নাটকেও পরিণত হয়।

ঘটনাটি এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাজনীতিতেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বিষয়টি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সভায় তুলেছে এবং আসন্ন আইসিসি বৈঠকেও আলোচনার বিষয় হবে।

গুলাম আব্বাস জামালের ভাষ্য অনুযায়ী, “এটি কেবল ক্রিকেট নয়, এটি আত্মমর্যাদা, সার্বভৌমত্ব এবং চাপের মুখেও মাথা না নোয়ানোর প্রতীক।”

বাংলাধারা/এসআর