সাগরে লঘুচাপের আভাস, অক্টোবরেই ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ১০:০২ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। ফলে সারা দেশে বৃষ্টিপাত কমে এসেছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখনই বৃষ্টির পুরোপুরি অবসান ঘটছে না। আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরবর্তীতে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, ২৪ অক্টোবরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপের আকার আরও স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি লঘুচাপ বিরাজ করছে, যার বর্ধিত অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। গত শনিবার চট্টগ্রামে দেশের সর্বোচ্চ ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ৩, কক্সবাজারের আমবাগানে ৪ এবং কুতুবদিয়ায় ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ওই দিন সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নীলফামারীর ডিমলায় সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “২১ অক্টোবরের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ধীরে ধীরে ঘনীভূত হতে পারে, তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না।”
অক্টোবরের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে তিনটি লঘুচাপের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। এর একটি ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। বাকি দুটি যেকোনো সময় সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বাংলাদেশে বছরে দুই সময় ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি বেশি থাকে, একটি এপ্রিল-মে মাসে মৌসুমি বায়ুর আগে, আরেকটি অক্টোবর-নভেম্বরে মৌসুমি বায়ু বিদায়ের পর। তাই অক্টোবর মাসে ঝুঁকি এখনও কাটেনি।
বাংলাধারা/এসআর