সিরিজ টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের সামনে কঠিন লক্ষ্য চট্টগ্রামে

চট্টগ্রামের নরম আলো, ব্যাটিংবান্ধব উইকেট আর প্রথম দিকের অতিরিক্ত সুবিধা- এসব মিলিয়ে আয়ারল্যান্ড যেন ঝড় তুলেছিল পাওয়ারপ্লেতে। মাত্র ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ৭৫ রান! শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ বোলারদের জন্য হয়তো কঠিন এক সন্ধ্যা অপেক্ষা করছে।

কিন্তু পাওয়ারপ্লে শেষ হতেই যেন সবকিছুর চিত্র পাল্টে যায়। ৭৫/১ থেকে ১১ ওভারের মধ্যে আয়ারল্যান্ড থেমে যায় ১০৩/৪ এ। আর এই নাটকীয় মোড় ঘোরানোর নেপথ্যনায়ক একাই- শেখ মেহেদী হাসান।

মাঝের ওভারগুলোতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ঘুরিয়ে আনেন তিনি। টিম টেক্টর, হ্যারি টেক্টর ও ক্যালিটজ- তিনজনকেই দ্রুত বিদায় করে দেন অফস্পিনার, আর তাতেই দমে যায় আয়ারল্যান্ডের গতি।

তবে শেষ দিকে আবারও দেখা দেয় বাংলাদেশের পরিচিত সমস্যা- ফিল্ডিং ভুল আর পেসারদের অনিয়মিত লেংথ। শেষ চার ওভারে ৩৬ রান তুলে সফরকারীরা স্কোর নিয়ে যায় প্রতিযোগিতামূলক উচ্চতায়। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭০/৬।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন উইকেটরক্ষক লরকান টাকার। ঝড়ো শুরু এনে দেন অধিনায়ক পল স্টার্লিং- ১৪ বলে ২৯ রান। টিম টেক্টরও খেলেন কার্যকরী ইনিংস- ২৫ বলে ৩৮।

এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৮২ রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ থেমেছিল ১৪২/৯ এ। আজ আবারও সামনে কঠিন হিসাব- ১৭১ রানের লক্ষ্য।

বাংলাদেশের ভাগ্যের চাবি এবারও নির্ভর করছে পাওয়ারপ্লের ওপর। টপ অর্ডার যদি তাড়াহুড়া না করে সময়মতো আক্রমণে যায় এবং উইকেট হাতে রাখে, লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে থাকতে পারে। না হলে লিটন দাসের দলকে আবারও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে।

চট্টগ্রামে এখন অপেক্ষা বাংলাদেশ কি পারে সিরিজ বাঁচানোর এই কঠিন রান তাড়া করতে?

বাংলাধারা/এসআর