ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা হবে ১৩ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ০১:২৯ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায়ের দিন ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৩ নভেম্বর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

পরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “আগামী ১৩ নভেম্বর আদালত রায়ের দিন ঘোষণার জন্য তারিখ ধার্য করেছেন। সেদিনই জানানো হবে সংক্ষিপ্ত কত দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হবে।”

এর আগে মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি-খণ্ডন ও সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

গত ২০ অক্টোবর আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। টানা তিন দিন শুনানি শেষে তিনি শেখ হাসিনা ও অন্যান্য আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাসের আবেদন জানান। বিচারপতি মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত যুক্তি শুনেন।

প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় মোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তবে প্রধান দুই আসামি পলাতক থাকায় তারা কোনো সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেননি।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলে।

মামলার ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে রয়েছে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার তথ্যসূত্র, ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠার জব্দতালিকা ও প্রমাণপত্র, এবং ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার শহীদ তালিকা। তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে গত ১২ মে মামলার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রসিকিউশনের প্রত্যাশা, মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের পর দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাধারা/এসআর