জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় তিতাসে ২৮ নম্বর কূপ খনন শুরু
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ১২:২৫ রাত
ছবি: সংগৃহিত
দেশের জ্বালানি সরবরাহ জোরদারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন একটি গ্যাসকূপের খনন কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) উদ্যোগে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে ২৮ নম্বর কূপ খননের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খনন কার্যক্রমের সূচনা করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রকৌশল) মো. শোয়েব। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কূপটির খনন কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব বলেন, বিজিএফসিএলের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গ্যাস ফিল্ডগুলোতে উৎপাদন ইতোমধ্যেই বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের চলমান জ্বালানি সংকট অনেকাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তিনি জানান, তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ৩১ নম্বর এবং বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর গভীর কূপ খননের প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে প্রথম দফা গ্যাস অনুসন্ধান জরিপ পরিচালিত হয় ২০১২ সালে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে জরিপ প্রতিবেদনের পর্যালোচনার ভিত্তিতে তিতাসে নতুন তিনটি কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিজিএফসিএল। এই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরে অবস্থিত কামতা গ্যাস ফিল্ডেও একটি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিতাস ও কামতা গ্যাস ফিল্ডে মোট চারটি কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন শেষে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ২৮ নম্বর কূপের খনন কাজ একটি চীনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় দুই মাসের মধ্যে খনন কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর কূপটি থেকে প্রতিদিন আনুমানিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে জাতীয় গ্রিডে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, কোম্পানি সচিব মোজাহার আলী এবং তিতাস ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাধারা/এসআর
