বিদেশে পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকার ১১টি বড় মামলা চিহ্নিত : অর্থ উপদেষ্টা
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ১০:০৭ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
দেশ থেকে বিদেশে পাচার হওয়া হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থের ১১টি বড় মামলা এবং ২০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের ১০১টি মামলা চিহ্নিত করেছে সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে হলে আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধে বিদেশি কর্তৃপক্ষ অর্থ ফেরত দেবে না; এজন্য বিশ্বের সেরা আইনজীবীদের মতো যোগ্য আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “টাকা পাচারকারীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। তারা ‘লেয়ারিং’ প্রক্রিয়ায় অর্থ সরিয়ে নেয়, যেমন কেরানীগঞ্জে পাঠানোর আগে সেটি পঞ্চগড় ঘুরে সিলেটে যাবে। এতে সাধারণভাবে বোঝা যায় না। তবে আমরা কারা কারা এই কাজে জড়িত, কোন দেশে অর্থ গেছে, সবকিছু চিহ্নিত করেছি। এখন লক্ষ্য হলো আইনি পথে সেই অর্থ ফেরত আনা।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ফিলিপাইন থেকে অর্থ ফেরাতে এখনও হিমশিম খেতে হচ্ছে। লন্ডনে এক ব্যক্তির একাধিক বাড়ি জব্দ করা হয়েছে, সিঙ্গাপুরেও একজন পাচারকারী বিশ্বের সেরা আইনজীবী নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। “আমাদেরও সমমানের আইনজীবী লাগবে,” বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের অভ্যন্তরে অনেকের সম্পত্তি ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে দুবাই, সিঙ্গাপুর ছাড়াও বারবাডোজ, অ্যান্টিগুয়া’র মতো ‘ট্যাক্স হেভেন’ থেকে অর্থ ফেরানো কঠিন, কারণ এসব দেশের নিজস্ব কঠোর আইন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “একজন যদি ৪০ হাজার কোটি টাকা ফেরত এনে দিতেন, তাহলে আমাকে আইএমএফ থেকে ১.৩ মিলিয়ন ডলার নিতে হতো না। এখন সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—সবাইকে সতর্ক বার্তা দেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে কেউ পাচার করে পার না পায়।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক এবং ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী।
বাংলাধারা/এসআর