ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

বিজয় দিবসে সশস্ত্র বাহিনীর বর্ণিল আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ০১:১৮ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে তিনি বিজয়ের আনন্দঘন মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এবং সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ ফ্লাই-পাস্ট, প্যারাজাম্প ও বিশেষ এ্যারোবেটিক প্রদর্শনী। আকাশে যুদ্ধবিমানের কৌশলগত উড্ডয়ন ও নিখুঁত প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বিত ব্যান্ড পরিবেশনা অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।

এ ছাড়া ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সশস্ত্র বাহিনীর অর্কেস্ট্রা দলের বাদ্য পরিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস ও ঘাঁটি এলাকায় সীমিত আকারে ব্যান্ড পরিবেশনা আয়োজন করা হয়। বিমান বাহিনীর উদ্যোগে খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নাটোর, বগুড়া, চট্টগ্রাম শহর ও ফৌজদারহাট, কক্সবাজার এবং মাতারবাড়ী এলাকায় সীমিত আকারে ফ্লাই-পাস্ট পরিচালিত হয়।

বিজয়ের ৫৪তম বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুর রহমানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ৫৩ জন, মোট ৫৪ জন প্যারাট্রুপার জাতীয় পতাকাসহ ফ্রি ফল জাম্পের মাধ্যমে আকাশ থেকে ভূমিতে অবতরণ করেন। এ ধরনের সর্বোচ্চ সংখ্যক পতাকাবাহী ফ্রি ফল জাম্প সফল হলে এটি বাংলাদেশের পক্ষে একটি নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সক্ষমতা ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরও দৃঢ় করবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ বিভিন্ন স্তরের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বিজয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর, ঢাকার সদরঘাট, পাগলা (নারায়ণগঞ্জ) এবং বরিশালসহ বিআইডব্লিউটিসির বিভিন্ন ঘাটে নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজগুলো দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। পাশাপাশি সামরিক জাদুঘরসহ তিন বাহিনীর বিভিন্ন জাদুঘর বিনা টিকিটে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

বাংলাধারা/এসআর