৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি

দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে এ হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা এর আগের মাস জুলাইয়ে ছিল ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ পয়েন্ট।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আগস্ট ২০২৫ মাসের মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

২০২২ সালের জুলাই মাসে সর্বশেষ ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমেছিল মূল্যস্ফীতি। এরপর থেকে আর কখনো এ হার ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। দীর্ঘ ওই সময় পর আগস্টে মূল্যস্ফীতি আবারও নেমে এলো ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে।

বিবিএসের হিসাবে আগস্টে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা জুলাইয়ে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অপরদিকে খাদ্যবহির্ভূত খাতে আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশে, জুলাইয়ে যা ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

তথ্য অনুযায়ী, গ্রামে আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, শহরে ৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে গ্রামে হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, আর শহরে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত খাতে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং শহরে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যায়, গ্রামের মানুষ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেশি ভুগছেন, আর শহরের মানুষ তুলনামূলকভাবে খাদ্যবহির্ভূত খাতের চাপ বেশি অনুভব করছেন।

গত এক বছরের (সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫) গড় হিসাবে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর আগের ১২ মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা হলেও হ্রাস পাচ্ছে।

বিবিএসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, মৌসুমি সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায় আগস্টে খাদ্যপণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে অখাদ্য খাতে, বিশেষত ভাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ, এখনও ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সামগ্রিক চাপ পুরোপুরি কমেনি।

বাংলাধারা/এসআর