জুলাই সনদ করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রকাশিত: জুন ০৩, ২০২৫, ১২:০৫ রাত

ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই সনদ করব- এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা এখন দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ করেছে এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা আরও পরিষ্কার হয়ে উঠছে।
বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ড. ইউনূস। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং কমিশনের সদস্যরা এতে অংশ নেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বৈঠক শুরু হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি প্রতিদিন অনেক বৈঠকে অংশ নিই। তবে এরকম বৈঠকে অংশ নিতে পারাই আমার সবচেয়ে আনন্দের জায়গা। কারণ, এখানে আমরা একসঙ্গে বসে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ নির্মাণের চেষ্টা করছি। এটি এক রকম শিহরণ জাগানো অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, আমাকে সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিকে আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কোথা থেকে শুরু করব। পরে আলোচনা করে ঠিক করা হয়, আমরা কয়েকটি কমিশন গঠন করব। সেই কমিশনগুলো নিজেদের মতো করে প্রস্তাবনা তৈরি করবে। আমরা তাদের ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম। অনেকেই সেই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছে, কেউ কেউ একটু বাড়তি সময় নিয়েছে- তাতে অসুবিধা নেই।
কমিশনগুলোর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ঐকমত্য গঠনের চিন্তা সামনে আসে বলে জানান ড. ইউনূস। তার ভাষায়, কমিশনের সুপারিশগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেজন্য জাতীয় ঐকমত্য গড়ার দরকার ছিল। তখন থেকেই একটি পৃথক ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের ধারণা আসে এবং তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আলী রীয়াজ সাহেব যখনই আমার সঙ্গে বৈঠক করেন, আমি বেশ আনন্দিত হই। ওনারা অত্যন্ত আন্তরিকভাবে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা অনেকগুলো বিষয়ে ইতিমধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে গেছি। আরও কিছু বিষয় যদি যুক্ত করা যায়, তাহলে আমাদের জুলাই সনদ আরও পরিপূর্ণ হবে।”
“আমাদের লক্ষ্য একটাই- একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা, যেখানে দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারি। এটা এমন একটি দলিল হবে, যা আমাদের গর্বিত করবে। আমরা প্রমাণ করতে পারব, জাতি হিসেবে আমরা এক হতে পারি, দেশের স্বার্থে আমরা একমত হতে পারি।
বাংলাধারা/এসআর