লন্ডনে তারেক রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ১৩ জুন, আলোচনায় নির্বাচন ও রাজনৈতিক সমঝোতা
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৫, ০৩:০২ দুপুর

ফাইল ছবি
আসন্ন লন্ডন সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটি চূড়ান্ত হয়েছে। ঢাকাসহ লন্ডনের কূটনৈতিক মহলের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে কালবেলাকে।
সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যোগাযোগ করা হলে বিএনপির পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে এ গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতের ব্যাপারে সম্মতি গৃহীত হয়েছে। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় কিংবা বিএনপি পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৩ জুন সকালে, বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী দুপুরে, লন্ডনের অভিজাত ডরচেস্টার হোটেলে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এই আলোচনায় উভয়পক্ষ অংশ নেবেন।
বৈঠকের নির্দিষ্ট এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, “আলোচনায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্ভাব্য সমঝোতা ও কৌশলগত অবস্থান নিয়ে মতবিনিময় হতে পারে।”
এ সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্যালেসে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে সম্মানজনক ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’। এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিষি সুনাকের সঙ্গেও তাঁর একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, দুই সরকারপ্রধানের আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য ব্রিটেনের সমর্থন চাওয়া হবে। অপরদিকে, বৈঠকে যদি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ ওঠে, তবে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ সরকার।
এই বৈঠককে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার ঝড় বইছে। অনেকে একে চলমান সংকট নিরসনের সম্ভাব্য সূচনা বলেও দেখছেন। ফলে ১৩ জুনের বৈঠকটি শুধু দুই নেতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি হতে যাচ্ছে একটি বড় রাজনৈতিক বার্তার কেন্দ্রবিন্দু।
বাংলাধারা/এসআর