ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হচ্ছে এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ০৯:০৫ রাত  

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন। রোববার (১২ জুন) রাশিয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ৮০ বছর এবং সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্পের ৮০ বছর উদযাপন করছে। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”

তিনি জানান, রুশ এবং বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং প্রথম ইউনিট চালুর সব প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত খোজিন আরও বলেন, “রূপপুর প্রকল্প শুধু একটি প্রযুক্তিগত উদ্যোগ নয়; বরং এটি রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি শক্তিশালী প্রতীক। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার জ্বালানি নিরাপত্তায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’। প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। শুরু থেকেই এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত।

প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়া প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটি দেশের জ্বালানি খাতের উপর নির্ভরতা বহুলাংশে কমিয়ে আনবে এবং শিল্প, কৃষি ও আবাসন খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে এটি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও শিল্পায়নের পথে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।


বাংলাধারা/এসআর