ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকার : প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৮:১৬ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

জনগণের দোরগোড়ায় সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতের টেকসই সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (২৭ জুলাই) ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য ‘হেপাটাইটিস: লেটস ব্রেক ইট ডাউন’—হেপাটাইটিস নির্মূলের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশে লিভারজনিত রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর পেছনে সচেতনতার অভাব, চিকিৎসার প্রতি অবহেলা ও নানা কুসংস্কার দায়ী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি জানান, দেশের প্রায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-বি এবং শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ হেপাটাইটিস-সি ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার ও লিভার ফেইলিওরের মতো রোগে প্রাণ হারাচ্ছেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, সরকার হাসপাতালগুলোর মান ও সক্ষমতা উন্নত করতে কাজ করছে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোবাইল ফোন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে সরকার ইতোমধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এই লক্ষ্য পূরণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা হেপাটাইটিসকে ‘নীরব ঘাতক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এই রোগ প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

বাংলাধারা/এসআর