বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৩:০৫ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বর্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জুলাই সনদ কার্যকর করতে চাই। সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এক মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করা হলে সনদ বাস্তবায়নের জন্য এই এক মাসের সময়ের প্রয়োজন হবে না। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে অবগত। তিনি আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন। তার আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে জানানো হবে।”
তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সনদ বাস্তবায়নের জন্য ছয়টি ভিন্ন উপায় পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ কেউ বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করার পক্ষে, আবার কেউ সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল সুস্পষ্ট মতামত প্রদান করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে আমরা ছয় ভাগে তা ভাগ করেছি। অনেক বিষয়ে অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব। কমিশন সরকারকে দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে প্যানেল দুটি বিকল্প সুপারিশ করেছে, একটি গণভোটের মাধ্যমে, অন্যটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে। “আমরা সরকারকে তুলনামূলকভাবে সহজ ও কার্যকর উপায়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একাধিক পরামর্শ দিতে পারি, যা আইনি ও সাংবিধানিক দিক থেকে যাচাই করা হয়েছে।”
সনদে স্বাক্ষরের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দু’জন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। বেশিরভাগ দল ইতিমধ্যেই নাম পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৈঠকে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বাংলাধারা/এসআর