ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচন অনিশ্চিত হলে বাড়তে পারে ‘রাজনৈতিক নৈরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০১:২০ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ঘিরে শঙ্কা বাড়ছে। সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালুর দাবিতে জামায়াতে ইসলামি সহ সাতটি দল আন্দোলন শুরু করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি এ আন্দোলনকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, কিছু শক্তি নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অটল।

বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং উগ্রপন্থার উত্থান ঘটতে পারে। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও ব্যাহত হচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনার সময় আন্দোলনে নামা অযৌক্তিক। অন্যদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার দাবি করেছেন, আলোচনায় সফলতা না আসায় জনগণের দাবিতেই তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

বিএনপি নেতারা সতর্ক করেছেন, নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে। ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ নেতারাও জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীরা নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় আছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়মতো নির্বাচন না হলে ভোটার, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দল সবার মধ্যেই হতাশা তৈরি হবে, যা বিদ্যমান সামাজিক নৈরাজ্যকে রাজনৈতিক নৈরাজ্যে রূপ দিতে পারে।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংকট থেকে উত্তরণের পথ হলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। যথাসময়ে নির্বাচন না হলে এর পরিণতি হবে সবার জন্যই অমঙ্গলকর।

বাংলাধারা/এসআর