ইয়াবার বিনিময়ে দেশের সার ও ওষুধ পাচার: কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৫:০৬ বিকাল
_20250925170641_original_36.webp)
ছবি: সংগৃহিত
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, আরাকান আর্মি থেকে আসা ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে সার, ওষুধ ও চাল পাচার হচ্ছে।
সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও অগ্রগতির বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আরাকান আর্মি ইয়াবার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছ থেকে ইয়াবা নিয়ে দেশের সার, ওষুধ ও চাল পাচার করা হচ্ছে। এ ধরনের অনিয়ম রোধে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের সার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। আগামী অর্থবছরের সম্ভাব্য ঘাটতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সার আমদানিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, পূর্বের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সার সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। “আমার থাকাকালীন সময়ে সারের দাম বাড়ানো হবে না। জ্বালানি খরচ বেশি হলেও আমরা সারের দাম বাড়াবো না,” তিনি আরও উল্লেখ করেন।
সার পাচার রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি) বাংলাদেশ সার কার্পোরেশন (বিএডিসি) কে সার ক্রয়ের জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঋণ প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
উপদেষ্টা জানিয়েছেন, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং বালাইনাশক সম্পর্কিত বিধিমালা সংশোধনের কাজ চলছে। গত এক বছরে ২,৬৪৬.১১ কোটি টাকার ব্যয়ে ৯টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, ৩টি প্রকল্প পরিমার্জন করা হয়েছে এবং ২টি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, “ফসলি জমি নষ্ট করা বা দুই ও তিন ফসলী জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করা কোন অবস্থায়ই গ্রহণযোগ্য নয়। কৃষি জমি সংরক্ষণের জন্য কঠোর বিধানসহ ভূমি ব্যবহার ও কৃষি ভূমি সুরক্ষা অধ্যাদেশ প্রণয়ণের কাজ চলছে।”
বাংলাধারা/এসআর