ইউকেএম থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৯:৫৯ সকাল
_20250813095922_original_29.webp)
ছবি: সংগৃহিত
মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া (ইউকেএম) শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) কুয়ালালামপুরে ইউকেএম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছ থেকে এই ডিগ্রি গ্রহণ করেন ড. ইউনূস। সামাজিক ব্যবসা প্রসারে তাঁর অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এ সম্মান প্রদান করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, নীতি-নির্ধারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ থেকে আগত প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা। সকালে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর।
এর আগে, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরের এক হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এক বছরের মধ্যে মজবুত অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে। তিনি অভিযোগ করেন, স্বৈরশাসনের সময় টাকা লুট করে ব্যাংক খালি করা হয়েছিল, ফলে পুরো আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস জানান, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারবেন। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বড় বিনিয়োগের আশ্বাস পেয়েছেন বলেও জানান। একই সঙ্গে অনিয়মিত অবস্থায় থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাগজপত্রের জটিলতা নিরসনে সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কুয়ালালামপুরে অবস্থান করছেন।
বাংলাধারা/এসআর