ঢাকা, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫: প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের আহ্বানে বিশ্ব

শারমিন রহমান, ঢাকা

 প্রকাশিত: জুন ০৫, ২০২৫, ১২:২৭ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

আজ ৫ জুন, বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (UNEP)-এর উদ্যোগে ১৯৭৩ সাল থেকে প্রতি বছর দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর ১৪৩টিরও বেশি দেশে পালিত হচ্ছে দিবসটি, যার প্রতিপাদ্য- “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়” এবং স্লোগান- “প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়”।

দিবসটির মূল লক্ষ্য হলো- পরিবেশ দূষণের উৎস চিহ্নিত করা, করণীয় নির্ধারণ, টেকসই উন্নয়নের পথে সক্রিয়তা বৃদ্ধি এবং নীতিনির্ধারণে বিশ্বব্যাপী জোরালো বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে বৈশ্বিক পরিবেশ সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব শুধু মাটিতে নয়, নদী-সমুদ্রেও মারাত্মক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে। তাই জাতিসংঘের পরিবেশ অ্যাসেম্বলির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রণয়নের কাজ বর্তমানে চলমান, যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে দিবসটি। র‍্যালি, বৃক্ষরোপণ, আলোচনা সভা, পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

তবে এবছর ৫ জুন ঈদুল আজহার সরকারি ছুটির কারণে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আগামী ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি উদ্‌যাপন করবে।

২৫ জুন পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান উপদেষ্টা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা ও পরিবেশ মেলার উদ্বোধন করবেন।

এছাড়াও সেইদিন তিনি পরিবেশ সুরক্ষা ও সংরক্ষণে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় পরিবেশ পদক এবং বৃক্ষরোপণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পদক প্রদান করবেন।

বাংলাদেশ একদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি, অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক ব্যবহার এখানকার নদী, বন ও শহরগুলোর পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। তাই এ বছরের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুধু কর্মসূচি নয়, বাস্তবভিত্তিক পরিবেশ সংস্কার ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনার দিকেও মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

পরিবেশ রক্ষায় শুধু সরকার বা সংস্থাগুলোর নয়, সাধারণ নাগরিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সচেতনতা, আচরণগত পরিবর্তন এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সম্ভব হবে একটি সবুজ, বাসযোগ্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা।


বাংলাধারা/এএস