ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

অক্টোবরেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবুজ সংকেত দেবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: অক্টোবর ০৯, ২০২৫, ০৩:০৪ রাত  

ফাইল ছবি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থীদের চূড়ান্তকরণে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- অক্টোবরের মধ্যেই অধিকাংশ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করা হবে এবং তাদের দেওয়া হবে সবুজ সংকেত। সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে আসনভিত্তিক প্রার্থী বাছাই চলছে। অনেক আসনেই ১৫ থেকে ২০ জন পর্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পৃক্ততা এবং তরুণ নেতৃত্বকে। বিএনপি মনে করছে, প্রায় চার কোটি তরুণ ভোটার- বিশেষ করে জেন-জি প্রজন্ম- কে আকৃষ্ট করতে হলে নতুন মুখ অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ায় কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা বাদ পড়লেও দলীয় ঐক্য বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বৈঠকে স্থায়ী কমিটি জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে। সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার সারাংশ উপস্থাপন করেন, যেখানে গণভোটের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও মতবিনিময় হয়। সিদ্ধান্ত হয়- আলাদা কোনো সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন নেই, কারণ আদালতের রায়ের মাধ্যমে গণভোট সম্পর্কিত ধারা ইতোমধ্যেই পুনর্বহাল হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামি প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে গণভোট আয়োজনের। তবে বিএনপির অভিমত, এতে নির্বাচনের সময়সূচি বিলম্বিত হতে পারে এবং দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অযথা অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। তাই একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকেই বাস্তবসম্মত সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নেতারা বৈঠকে অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষরা সামাজিক মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর মোকাবিলায় দলীয় উপস্থিতি জোরদার করা, ফ্যাক্ট-চেকিং ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার কৌশল গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়া, একাধিক প্রার্থী থাকা আসনগুলোতে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না, তারা যেন হতাশ বা নিষ্ক্রিয় হয়ে না পড়েন- সে বিষয়ে সচেতন থাকার ওপর জোর দেওয়া হয়। দলের ঐক্য বজায় রাখতে সবাইকে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সাংগঠনিক কারণে পূর্বে যাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন- তাদের পুনর্বহালের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।


বাংলাধারা/এসআর