ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মানবিক করিডোর নামে কিছু চাপিয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল 

নুরুল আফছার :

 প্রকাশিত: মে ০৮, ২০২৫, ১০:৫০ রাত  

‘মানবিক করিডোরের নামে কোনো কিছু জনগনের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না’ বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রয়াত অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলীর স্মরণ সভায় করিডোরের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এমন হুশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, ‘‘ এখন দেখা যাচ্ছে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত যিনি আছেন(নিরাপত্তা উপদেষ্টা) তিনি অনেক কথা বলছেন। তার মধ্যে গতকাল একটা কথা বলে্ছেন, যে যেই থাক মিয়ানমারের পাশে তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে হবে। তো তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, দেশের মানুষ-জনগনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন না।”
‘‘আলোচনাটা করেন। আমরা তো দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে আমরা কখনই তো বাধা নই বরঞ্চ আমরা সামনে এসে দাঁড়াব… বরঞ্চ লড়াইটা আমরাই করি। সেই জায়গায় দয়া করে অনুরোধ করব, বাংলাদেশে মানুষকে আন্ডার স্টিমেট করবেন না। এখানে কিছু কিছু পন্ডিত-একামেডিশিয়ানস সবাই বসে যদি মনে করেন যে ইম্পোজ করে দিতে পারবে কোনো কিছু যেটা এদেশের মানুষের পক্ষে যাবে না। সেটা কোন দিনই করতে পারবেন না।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমি অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাফল্য চাই… বার বার বলছি। আমরাই তাদেরকে বসি্য়েছি। কিন্তু এমন কোনো কাজ করবেন না যা জাতির বিরুদ্ধে যাবে, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যাবে। এমন কোনো কাজ করবেন না যেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্যে উপযোগী হবে না।”
‘‘ আজকে এমন এমন কাজ করছেন যে, বাংলাদেশের মানুষ ক্লিয়ার না। প্যাসেজ দেবেন, করিডোর দেবেন সেই করিডোর দেবেন তা নিয়ে  মানুষের সাথে আলাপই করছেন না, কথা বলছেন না। আপনি করিডোর দিয়ে দিচ্ছেন আরাকানে যে আরাকান আর্মি গর্ভমেন্টই নেই। করিডোর কি দেবেন? যদি প্রয়োজন হয় এক‘শ বার দেবেন, মানবতাকে যদি সাহায্য করতে হয়, সাহায্য করব। কিন্তু আপনি তো দে্শের জনগনকে নিয়েই সেটা করবেন।”
‘‘ আপনি দলগুলোর সাথে আলোচনা করে করবেন… কোনো আলোচনা নাই।”
নিরাপত্তা উপদেষ্টার গতকাল দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘ এখন দেখা যাচ্ছে তাদের(অন্তর্বতীকালীন সরকার) দায়িত্বপ্রাপ্ত যিনি আছেন তিনি অনেক কথা বলছেন। তার মধ্যে গতকাল একটা কথা বলে্ছেন, যে যেই থাক মিয়ানমারের পাশে তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে হবে। তো তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন, দেশের মানুষ জনগনের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন না। আলোচনাটা করেন।”
‘‘ আমরা তো দেশের স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, স্বাধীনতা রক্ষার স্বার্থে আমরা কখনই তো বাধা নই বরঞ্চ আমরা সামনে এসে দাঁড়াব… বরঞ্চ লড়াইটা আমরাই করি। সেই জায়গায় দয়া করে অনুরোধ করব, বাংলাদেশে মানুষকে আন্ডার স্টিমেট করবেন না।”
‘‘ এখানে কিছু কিছু পন্ডিত-একামেডিশিয়ানস সবাই বসে যদি মনে করেন যে ইম্পোজ করে দিতে পারবে কোনো কিছু যেটা এদেশের মানুষের পক্ষে যাবে না। সেটা কোন দিনই করতে পারবেন না।”
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে এই স্মরণ সভা হয়।
গত বছরের ২ মে এজে মোহাম্মদ আলী মারা যান। তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
‘খালেদার ফেরা: নতুন আলো সম্ভাবনা’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনি গত পরশু ‍যখন লন্ডন থেকে ফিরে এসেছেন এবং তার স্বাস্থ্যে মধ্যে তার চেহারার মধ্যে নতুন করে আমরা আলো দেখতে পেয়েছি… গোটা জাতি আজকে নতুন করে আলো পেয়েছে।”
‘‘ এই সময়টাকে কাঁদে নিয়ে আমাদেরকে সামনের দিকে এগুতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘‘আমাদের কথাকে ভুল ব্যাখ্যা করে বিচার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এটা জানি কেনো করা হচ্ছে? গত পরশু সেটা প্রমাণিত হয়েছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, প্রমাণিত হয়েছে যে, বিএনপি হচ্ছে সবচাইতে বড় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।”
‘‘ প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির হাতেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে এদেশের  স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র একমাত্র নিরাপদ।”
‘অনির্দিষ্টাকালের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার থাকবে?’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এখন আপনার সংস্কার করতে হবে… আমরা তো সংস্কার চেয়েছি সবসময়। এখন অনেকে বলছে যে, আগে সংস্কার হবে তারপরে নির্বাচন। তো সংস্কার যে একটা চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার হতে হতে আপনার যদি ৫ বছর ১০ বছর লাগে… লাগতে পারে এটা চলমান।”
‘‘ তাহলে নির্বাচন ১০ হবে না। আর ১০ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী আমলাদের হাতেই দেশ চলবে। এখন তো আমরা ফ্যাসিবাদী আমলাদের দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছি। সেক্রেটারিয়েটের আমলারা ৯০% ফ্যাসিবাদের দোসর। আপনারা(আইনজীবীরা) এখানে আলোচনা করলেন যে আপনাদের বারে অনেকে আছেন যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন.. তাই না। তা হলে এই অনির্দিষ্টকালের জন্য একটা অনির্দিষ্ট অনিশ্চিত একটা অন্তবর্তী সরকার এটা কি দেশের মানুষের জন্য খুব উপকারে আসবে… আসতে পারে না।”