ঢাকা, রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের দাবীতে পটুয়াখালীতে কিন্ডার গার্টেন ঐক্য পরিষদের  মানববন্ধন 

নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : 

 প্রকাশিত: আগস্ট ০৩, ২০২৫, ০৫:২৪ বিকাল  

 

 

বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের দাবীতে পটুয়াখালীতে মানব বন্ধন করেছে কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

রবিবার (০৩ আগস্ট) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন কালিকাপুর প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বাদল, রেনেসাঁ আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ইঞ্জিঃ মো. রাসেল হোসেন, ছোট বিঘাই প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহসানুল কবির, প্রভাতি প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আছিয়া বেগম, ব্রাইট ফিউচার প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক শেফা আক্তার, রোজ গার্ডেন প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক সাফিয়া আক্তার, আদর্শ মডেল প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাসান, কলাপাড়া রাইজিং সান প্রি- ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান মাসুদ প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন ২০০৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালু হলে দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন ও এনজিও পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পায়। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া হতো। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বন্ধ হলে ২০২২ সালে পূর্বের ন্যায় ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও দেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পায়।  কিন্তু বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের অসংখ্য ছাত্র- জনতা জীবন উৎসর্গ করে। সেই জুলাই অভ্যুল্থানের বর্ষপূর্তিকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন ২০২৫ এর ৫ম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করতে পারবে। বক্তারা এ বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে জোর দাবী করেন।

পরে শিক্ষকবৃন্দ ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্ঠার বরাবরে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।