ঢাকা, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

জাফর ইকবাল অপু, খুলনা:

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৫, ১০:২৬ রাত  

ছবি: বাংলাধারা

বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। চলতি বছরের আগস্ট মাসে কেন্দ্রটি উৎপাদন করেছে ৭৭১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ, যা ৭৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টর (PLF) অর্জনের সমতুল্য। দেশের মোট ১০ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে এককভাবে এ কেন্দ্রের অবদান দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আনোয়ারুল আজিম মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, গত তিন মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে মাসে ৬০০ মিলিয়ন ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ সময়ে মোট উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ইউনিটে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আমদানিকৃত কয়লার ওপর নির্ভরশীল হলেও এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে সর্বাধুনিক ব্যবস্থা-ফ্লু-গ্যাস ডি-সালফারাইজেশন, উন্নত ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক প্রিসিপিটেটর, ২৭৫ মিটার উচ্চতার চিমনি, ক্লোজড-সাইকেল কুলিং এবং জিরো লিকুইড ডিসচার্জ সিস্টেম। ফলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যেমন নির্ভরযোগ্য, তেমনি পরিবেশবান্ধবও।

কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ইতোমধ্যেই শিল্পায়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।


বাংলাধারা/এসআর