শেষদিনে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ফাইলে স্বাক্ষর করে গেলেন ওয়াহিদউদ্দিন
প্রকাশিত: মার্চ ০৫, ২০২৫, ০৯:৩২ রাত

দীর্ঘ ৪০ বছর পর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। ভাগ্য খুলছে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৫১৯ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৬ হাজারের বেশি শিক্ষকের। তাদের এমপিওভুক্তির প্রস্তাবের ফাইলে শেষদিন বুধবার স্বাক্ষর করে গেছেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা এমপিওভুক্ত হচ্ছেন।
বুধবার বিদায়ী বক্তব্যে বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেই। তিনি বলেছেন, একই কারিকুলামে পড়াশুনা করিয়ে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে ইবতেদায়ী শিক্ষকদের চরম বৈষম্য ছিল। সেই বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ বঙ্গভবনে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানে এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়টি অর্থ বিভাগের সচিবকে অবহিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। এ সময় অর্থ সচিব প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি মিললে টাকা ছাড় করার বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
কতদিন লাগতে পারে— জানতে চাইলে সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় চলতি বছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে অর্থ ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছেন। মে মাসের বেতন যেন শিক্ষকরা পান সেই চেষ্টা চালাচ্ছি।
একই পাঠদান করিয়েও বৈষম্যের শিকার ইবতেদায়ী শিক্ষকরা
বিদায়ী বক্তব্যে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় প্রায় একই কারিকুলামে পাঠদান করা হয়। কিন্তু সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা শতভাগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও ইবতেদায়ী শিক্ষকরা নামেমাত্র ৩ হাজার টাকার মতো অনুদান পান, এটা চরম বৈষম্যে। অথচ আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশুনা করা অনেক ছাত্র শুধু দেশে নয়, বিদেশেও শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন পেশায় সুনামের সঙ্গে চাকরি করছেন। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ শিক্ষা ও আলিয়া মাদ্রাসার মধ্যে পার্থক্য দেখি না। যেই বৈষম্য ছিল সেটি দূর করা হবে। এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে।
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জট থাকায় একসাথে সবাইকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব না। যেসব মাদ্রাসার নথি (রেজিস্ট্রেশন) আছে সেগুলো প্রথমধাপে এমপিওভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে এমপিওভুক্ত করা হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের হিসাবে বর্তমানে দেশে ৬ হাজার ৯৯৭টি (কোডভুক্ত) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবে আরও পাঁচ হাজারের মতো মাদ্রাসা আছে। তার মধ্যে ইআইআইএনধারী ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রাসার একজন প্রধান শিক্ষক ধরে মোট চারজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হবেন। সেই হিসাবে ৬ হাজার ৭৬ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারেন।