ঢাকা, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

এক মিনিটের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থেকে সরে এল অন্তর্বর্তী সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ০৩, ২০২৫, ০৪:০৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র অংশ হিসেবে ঘোষিত এক মিনিটের প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে, বুধবার ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’র বিস্তারিত কর্মসূচি প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। তাতে ১৮ জুলাই রাত ৯টায় সারা দেশে এক মিনিটের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পরিকল্পনা ছিল। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঠিক সেই সময়ে তৎকালীন সরকার আন্দোলন ঠেকাতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল। সেই ইতিহাস স্মরণেই প্রতীকী ব্ল্যাকআউটের পরিকল্পনা করা হয়।

তবে এ ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনদের একাংশ এ উদ্যোগকে অপ্রয়োজনীয় ও জনভোগান্তিকর হিসেবে আখ্যা দেন। অনেকেই মন্তব্য করেন, এটি আগের সরকারের বিতর্কিত পদক্ষেপেরই প্রতিফলন।

এ নিয়ে ফারুকী তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রামের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিল। একটা মাত্র কর্মসূচি আমরা কয়েকবার বাদ দিয়েছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম, ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ হয়তো গ্রেট আইডিয়া না। পরে আবার নানা আলোচনায় এটি ঢুকে পড়েছে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি আর বড় দল কাজ করলে এ ধরনের দু-একটা ভুল চোখ এড়িয়ে যায়। যাই হোক, আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, মতামত জানানোর জন্য।

তিনি আরও জানান, সরকারের ভেতরে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এক মিনিটের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি আর রাখা হচ্ছে না। বাকি সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে।

ফারুকী তার পোস্টের শেষাংশে লেখেন, “লেটস রিকানেক্ট, রিগ্রুপ অ্যান্ড রিগনাইট দ্য ভেরি জুলাই ফায়ার।”

এ কর্মসূচি বাতিলের ঘোষণার আগে ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারের পোস্টের ফটোকার্ডে প্রায় এক হাজার মন্তব্য জমা পড়ে, যার অধিকাংশই ছিল নেতিবাচক।

সাবহানাজ রশীদ নামে একজন মন্তব্য করেন, “এটা আওয়ামী লীগের সময়কার মতোই তেলবাজি আইডিয়া।”

আরেকজন, ইমাম হোসেন আরমান লেখেন, “এক মিনিট কীভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে, সেই চিন্তা করেন। আপনাদেরকে এই সব পুরোনো নাটক করার জন্য বসানো হয় নাই।”

অবশেষে জনমত বিবেচনায় অন্তর্বর্তী সরকার কর্মসূচি থেকে সরে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন অনেকেই।


বাংলাধারা/এসআর