ঢাকা, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাই গণহত্যা: তিন মামলায় ১৭ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ১১:৪৫ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তিনটি মামলায় মোট ১৭ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। 

সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে তাদের প্রিজনভ্যানে করে আদালতে আনা হয়।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ৩০ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। গত ৩০ জুন মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। সোমবার চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। তারা হলেন সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ। পলাতক ২৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকেও এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

লক্ষ্মীপুরে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলাতেও সোমবার শুনানি হয়। এ মামলার তিন আসামিকে অন্য মামলার গ্রেপ্তার অবস্থায় হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জাবেদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। মামলাটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ হিসেবে ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হয়।

অন্যদিকে গত ২ জুলাই আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। পলাতক আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার সাতজন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুল।

প্রসিকিউশনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও বি এম সুলতান মাহমুদ। তিন মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাধিক নির্দেশনা দেন এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে।

বাংলাধারা/এসআর