আদালতে দায় স্বীকার
পানি খাওয়ার অজুহাতে শাম্মীর বাসায় ঢুকে চাঁদা নেয় রিয়াদ-অপু
প্রকাশিত: আগস্ট ০৪, ২০২৫, ০৯:৪৯ সকাল

ছবি: সংগৃহিত
রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহম্মেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় দায় স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। রোববার (৩ আগস্ট) রিমান্ড শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে রিয়াদ জানান, গত ১৭ জুলাই রাতে প্রথমে শাম্মী আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের অভিযানে পুলিশের সঙ্গে গিয়ে তাকে বাসায় পাননি। পরে সকাল ১০টার দিকে জানে আলম অপু ও রিয়াদ এয়ারপড ফেরত দেওয়ার অজুহাতে আবার শাম্মীর বাসায় যান। এ সময় অপু ‘পানি খাওয়ার’ কথা বলে ভেতরে ঢুকে শাম্মীর স্বামীকে ভয় দেখিয়ে বলেন, শাম্মীকে পুলিশে দেওয়া হবে। এতে আতঙ্কিত হয়ে শাম্মীর স্বামী ১০ লাখ টাকা দেন। রিয়াদ বলেন, তারা দুজন এই টাকা সমানভাবে ভাগ করে নেন।
এরপর আরও ৪০ লাখ টাকা নিতে ২৫ জুলাই আবারও বাসায় গেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রিয়াদসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। অপু সে সময় পালিয়ে যান। তবে রোববার আদালতে তিনিও নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
রিয়াদ আরও জানান, তারা গুলশান থানা পুলিশের সহায়তায় শাম্মীর বাসায় যান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত)। তবে ভোরে শাম্মী বাসায় না থাকায় তারা ফিরে আসেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার অন্য তিন আসামি- ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকেও রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ঘটনার পর সংগঠন থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর