ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫, ০২:৪৫ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
দেশের সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের সঠিক ও দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহ্সান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব হাসপাতালকে অবিলম্বে বিশেষ ওয়ার্ড স্থাপনসহ জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীদের অবিলম্বে এনএস ওয়ান পরীক্ষা করতে হবে। এনএস ওয়ান বা অ্যান্টিজেন কিটের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহের জন্য সিএমএসডি বা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হবে এবং ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ঔষধ ও অন্যান্য সরঞ্জামের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড বা কক্ষে রাখা হবে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন, শিশু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। বোর্ডের তত্ত্বাবধানে মেডিকেল অফিসার, রেসিডেন্ট ও প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হবে, যারা কেবল এই রোগীদের চিকিৎসা দেবে। বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মধ্যে যারা ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হবে, তাদের চিকিৎসা একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বিশেষজ্ঞ বোর্ড ও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
আইসিইউ সুবিধা থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। রোগীর তথ্য সংরক্ষণ ও প্রেরণের জন্য একজন নার্সকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। কোনো রোগী মারা গেলে সংক্ষিপ্ত তথ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল পরিচালক বা তত্ত্বাবধায়ক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে জানাতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। হাসপাতাল এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা ও মশক নিধন কার্যক্রম চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাকে চিঠি প্রদান করতে হবে।
প্রতি শনিবার সকালে হাসপাতালের পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক বা সিভিল সার্জনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য জেলা হাসপাতাল প্রয়োজনে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এই নির্দেশনা কার্যকরভাবে অনুসরণ করলে দেশে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা আরও নিরাপদ, দ্রুত এবং সমন্বিতভাবে পরিচালিত হবে।
বাংলাধারা/এসআর