ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২

অবরোধে অচল খাগড়াছড়ি, গুইমারায় টহল জোরদার

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:৫৯ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালায় এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’ সংগঠনের ডাকে চলছে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ। এর সঙ্গে জেলা সদরে ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির কারণে পুরো পাহাড়জুড়ে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অবরোধকারীরা জেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করে। ফলে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।

অবরোধের তৃতীয় দিনে সরেজমিনে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর এবং আশপাশের এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে থামিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যেকোনো অঘটন এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে পুলিশ, সেনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় এবং গুইমারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। গুইমারায় পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ। রোববার সেখানে বিক্ষোভ-সহিংসতায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন স্থানীয় নাগরিক নিহত হন। আহত হন এক সেনা কর্মকর্তা, ১৩ সেনাসদস্য ও তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন। ঘটনার পর পুরো উপজেলায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে, রাস্তায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে সেনা-পুলিশ।

অবরোধে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা হয়নি দাবি করে খাগড়াছড়ির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অবরোধকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ঠেকাতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।”

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে পুলিশ আটক করেছে।

বাংলাধারা/এসআর