ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

শেখ হাসিনার রায়কে ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা, সড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:৪৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার চিত্র পাল্টে গেছে। বিভিন্ন সড়কে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, সীমিত করা হয়েছে যান চলাচল। ফলে অফিসমুখী মানুষ পড়েছেন ভোগান্তিতে, কমেছে বাসের সংখ্যা, বাড়ছে অপেক্ষার সময়।

সকাল ৮টায় শিক্ষাভবন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জাতীয় ঈদগাহ অভিমুখী সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ। প্রবেশপথে ব্যাগ চেক, গাড়ি তল্লাশি সব মিলিয়ে ভিন্ন রকম সতর্কতা। হাইকোর্ট এলাকায়ও ছিলো সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানসহ অতিরিক্ত সদস্যদের উপস্থিতি।

এরপরেই দেখা যায় র‌্যাব সদস্য ও পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত শাখার কড়াকড়ি। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়-বাংলামোটর, মৎস্যভবন, প্রেসক্লাব, কদমফোয়ারা থেকে শুরু করে যমুনা ভবন পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা চোখে পড়ে।

ট্রাইব্যুনাল ১৩ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই রাজধানীতে নাশকতার ঘটনাও ঘটেছে। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় রাজধানীজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

এদিকে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও রাস্তায় বাসের সংখ্যা ছিল খুবই কম। চাকরিজীবী জালিজ মাহমুদ বলেন, “নাশকতার ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও বাস পাইনি।”
আরেক যাত্রী আরাফাত রহমান জানান, “সড়কে যানবাহন কম, তবে শহর অস্বাভাবিকভাবে ফাঁকা।”

অন্যদিকে, রায়ের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন জুলাই যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে নানা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

রায় ঘোষণার অপেক্ষায় পুরো রাজধানী যেন থমথমে সড়কে নীরবতা, পথে পথে নিরাপত্তার কড়া নজরদারি, আর আদালতপাড়া ঘিরে বাড়তি সতর্কতা।

বাংলাধারা/এসআর