ঢাকা, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

চীন সফরে পারস্পরিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ১১:৩৯ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সফরে বেইজিংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। রোববার রাত ১০টা ১০ মিনিটে চায়না এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দলটি চীনের উদ্দেশে রওনা দেয়।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ঈসমাইল জবিউল্লাহ, সুকোমল বড়ুয়া, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।

ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, “চীন সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা। দুই দেশের জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়েও আলোচনা হবে। চীন একটি অর্থনৈতিক পরাশক্তি। তাদের অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা যদি বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারে, তাহলে আমাদের দেশও অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।”

তিনি আরও জানান, সফরকালে বিএনপি প্রতিনিধি দলটি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। আলোচনা হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েও।

সফরের পেছনে যে লক্ষ্য রয়েছে, তা হচ্ছে- বাংলাদেশের সঙ্গে চীনা সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং ভবিষ্যতের সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করা।

এর আগে, গত মাসের শেষ দিকে চীনের আমন্ত্রণেই বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল বিএনপির অপর একটি প্রতিনিধি দল। সেই সফরেও বিএনপি প্রতিনিধিরা চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। ওই অভিজ্ঞতা থেকেই পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের দিকনির্দেশনা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ সফর শুধু রাজনৈতিক বিনিময় নয়; বরং একটি বৃহৎ কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন মাত্রা তৈরির একটি প্রয়াস বলেই দেখা হচ্ছে।

 

বাংলাধারা/এসআর