মালয়েশিয়ায় ২৪ লাখ কলিং ভিসার খবরে বিভ্রান্তি
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৫, ০৫:১৩ বিকাল

ছবি: সংগৃহিত
মালয়েশিয়া নতুন করে কলিং ভিসার মাধ্যমে ২৪ লাখ কর্মী নিয়োগ দেবে, এমন খবরে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার জানিয়েছেন, খবরটি পুরোপুরি সঠিক নয়।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার বিজনেস টুডেসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, দেশটি বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে কলিং ভিসার কোটা উন্মুক্ত করেছে, যা চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই ঘোষণা দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতোশ্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল।
জনশক্তি রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। সে হিসাবে দেশটিতে সর্বোচ্চ প্রায় ২৪ লাখ ৭৬ হাজার শ্রমিক কর্মরত থাকতে পারে। বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক সেখানে কাজ করছেন। ফলে নতুন করে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয় লাখ কর্মী নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সংখ্যা থেকে বাংলাদেশও উল্লেখযোগ্য কোটা পেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, বছরে বাংলাদেশ থেকে দুই থেকে আড়াই লাখ শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, কৃষি, বাগান, খনিজ, সার্ভিস, নিরাপত্তা, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো ও ক্লিনিংসহ মোট ১৩টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক নেওয়া হবে। তবে নির্মাণ খাতে নিয়োগ সীমাবদ্ধ থাকবে শুধু সরকারি প্রকল্পে। আর উৎপাদন খাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোকে। এবারের কলিং ভিসা আবেদন শুধুমাত্র খাতভিত্তিক অফিসিয়াল এজেন্সির মাধ্যমে করা যাবে এবং যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেবে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিকাল কমিটি ও জয়েন্ট কমিটি।
এদিকে কলিং ভিসা চালুর খবরে বাংলাদেশে কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ আদায় শুরু করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অন্যান্য খরচের নামে অর্থ সংগ্রহের তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মালয়েশিয়ান দূতাবাস এবং কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশে কর্মী পাঠানোর নামে কিছু প্রতারকচক্র পাসপোর্ট ও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে। অথচ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সাবাহ প্রদেশে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। তাই এসব প্রলোভনে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে হাইকমিশন।
সবচেয়ে ইতিবাচক খবর হলো, এবার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে ‘জিরো কস্ট’ বা সম্পূর্ণ বিনা খরচে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে দুই দেশের সরকার কাজ করছে।
বাংলাধারা/এসআর