ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় উৎসবের প্রস্তুতি শুরু

পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ জানালো সুপারকো

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৮:৩৪ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

পবিত্র ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো)। সংস্থাটি জানিয়েছে, চাঁদ দেখা ও জ্যোতির্বিদ্যার তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানে আগামী ৭ জুন ঈদুল আজহা পালিত হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সুপারকোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিজরি ১৪৪৬ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা নিয়ে আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, জ্যোতির্বিদ্যার তথ্য এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির ভিত্তিতে সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে, জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ জন্ম নেবে ২৭ মে। ওই দিন সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স থাকবে প্রায় ১১ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। তবে সূর্যাস্ত ও চাঁদের অস্ত যাওয়ার মধ্যে সময় থাকবে মাত্র ৩৭ মিনিট। ফলে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও চাঁদ দেখা কঠিন হতে পারে।

এ কারণে সুপারকো মনে করছে, ২৯ মে জিলহজ মাস শুরু হতে পারে, যার ভিত্তিতে পাকিস্তানে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৭ জুন। তবে চাঁদ দেখা সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে রুয়েত-ই-হিলাল কমিটি, যারা প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইতোমধ্যেই ঈদুল আজহা উপলক্ষে চারদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে ৫ জুন আরাফাত দিবস এবং ৬ জুন ঈদুল আজহার সম্ভাব্য দিন ধরে ছুটি নির্ধারিত হয়েছে।

আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি জানিয়েছে, ২৭ মে সকাল ৭টা ২ মিনিটে চাঁদের উদয় ঘটবে এবং তা সূর্যাস্তের পর প্রায় ৩৮ মিনিট পর্যন্ত আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। সে অনুযায়ী, ২৮ মে জিলহজ মাস শুরু হয়ে ৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঈদুল আজহার সম্ভাব্য সময় ঘিরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও। সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন হয়ে থাকে। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে ৭ অথবা ৮ জুন।

বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের তারিখ ঘোষণা করবে। চাঁদ দেখা গেলে ইসলামী ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হবে।

চাঁদ দেখা এখনও বাকি থাকলেও, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে মুসলিম দেশগুলোতে প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। কোরবানির পশু কেনা, ট্রেন-বাসের আগাম টিকিট বুকিং, বাজারে কেনাকাটা—সবখানে ঈদের আমেজ বইছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা, আত্মত্যাগের আদর্শ, এবং সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মুসলিম উম্মাহর জীবনে ঈদুল আজহা আসন্ন।

 

বাংলাধারা/এসআর