ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২

নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, আলু ছাড়া সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: আগস্ট ০৮, ২০২৫, ০৯:৩৯ রাত  

ছবি: সংগৃহিত

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। শ্রাবণের টানা বর্ষণে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে, ফলে প্রভাব পড়েছে শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ও তেলের দাম বাড়ার চাপ। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলছে কেবল আলুর দামে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরের মাটিকাটা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ, মুরগি, গরু-খাসির মাংস, ডিম, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, তেল ও ময়দার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।

সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। বাজারে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২১০০ টাকায়, মাঝারি ইলিশ ১২০০ টাকায়। অন্যদিকে রুই মাছ মিলছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। মাংসের বাজারেও রয়েছে অস্থিরতা। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা।

ডিমের দামও বেড়েছে। প্রতি হালি ফার্ম ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়, ডজনপ্রতি দাম ১৪০-১৪৫ টাকা। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি বেড়ে হয়েছে ১৭২ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬২ টাকা। পাম অয়েল ও সুপার পাম অয়েলের দামও লিটারপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা।

খোলা ময়দার কেজি এখন ৬৫ টাকা, যা আগে ছিল ৫০-৫৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮৫ টাকা, দেশি রসুন ১৬০ টাকা ও আমদানি রসুন ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, আর এলাচের দাম কেজিতে ৫২০০ টাকা ছাড়িয়েছে।

তবে সব পণ্যের দাম যে বেড়েছে তা নয়। আলুর বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেছে। মানভেদে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানায়, গত এক সপ্তাহে ময়দা (খোলা), সয়াবিন তেল (লুজ), পাম অয়েল, মসুর ডাল, ব্রয়লার মুরগি, ডিম, দেশি পেঁয়াজ, আমদানি রসুন, আদা ও এলাচের দাম বেড়েছে। কমেছে শুধু আলু ও দেশি রসুনের দাম।

পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ক্রেতারা বলছেন, আয় বাড়েনি, কিন্তু বাজারে গেলে প্রতিদিন নতুন দামের ধাক্কা খেতে হচ্ছে।

বাংলাধারা/এসআর