এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগ গঠন: অধ্যাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০১:৪৬ দুপুর

ফাইল ছবি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল আজাদ। রোববার (১৮ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এ রিট দায়ের করেন।
রিটে আইন সচিব ও অর্থ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। এতে অধ্যাদেশ জারির বৈধতা প্রশ্নে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে এবং রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা স্থগিত রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে।
অ্যাডভোকেট জুয়েল আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, “এনবিআর একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। যুগোপযোগী সংস্কারের মাধ্যমে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব ছিল। অথচ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় না গিয়ে এমন একটি বড় পরিবর্তন কেবল অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক শাসনপ্রণালীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানেরও পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “একটি জাতীয় রাজস্ব প্রশাসনের কাঠামো পুনর্গঠন করা দেশের অর্থনৈতিক নীতিমালার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যাপার। এটি সংসদীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান উদ্যোগটি সংসদের বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে।”
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সংসদীয় প্রক্রিয়া এড়িয়ে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিলুপ্ত করে দুটি নতুন বিভাগ গঠন করা হয়েছে, যা সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতার নীতিমালার পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১২ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত ঘোষণা করে এবং এর পরিবর্তে “রাজস্ব নীতি বিভাগ” ও “রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ” নামে দুটি আলাদা বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত জানায়।
এ অধ্যাদেশের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্ট যদি রুল জারি করে, তাহলে নতুন গঠিত বিভাগদ্বয়ের আইনগত ভিত্তি ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম বিচারিক পর্যালোচনার আওতায় আসবে- যা রাজস্ব কাঠামোর ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাধারা/এসআর